ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাঁথিয়ায় কদর বাড়ছে কেঁচোসারের

সাঁথিয়ায় কদর বাড়ছে কেঁচোসারের

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার হাটবাড়িয়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক হৃদয় হোসেন কৃষি অফিসের সহায়তায় কেঁচোসারের উৎপাদন শুরু করেন। বছর না ঘুরতেই লাভের মুখ দেখছেন তিনি। সরকারি সহায়তা পেলে বাণিজ্যিকভাবে কেঁচো সার উৎপাদন করতে চান হৃদয় হোসেন।

জানা যায়,সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের হাটবাড়িয়া গ্রামের শহিদ আলীর ছেলে বেকার যুবক হৃদয় হোসেনের পরিচয় হয় হাটবাড়িয়া ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে। আ: মান্নান কেঁচো সার উৎপাদন, গুণাগুণ ও বাজারজাত সম্পর্কে জানালে এ সার তৈরিতে রাজি হন হৃদয়। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ভার্মিকম্পোস্ট প্রযুক্তিতে মাত্র ১০ রিং ও কেঁচো প্রদান করা হয়। তা দিয়ে হৃদয় কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করেন। লাভের মুখ দেখতে পেয়ে হৃদয় ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে নিজ উদ্যোগে আরও ৩০টি রিং ও আট কেজি কেঁচো ক্রয় করে সার উৎপাদন করেছেন। এ কাজে তার স্ত্রী ও মা সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছেন। বর্তমানে তিনি প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা আয় করছেন বলে জানান হৃদয়।

তিনি বলেন, তার উৎপাদিত ভার্মিকম্পোস্ট (কেঁচোসার) এলাকার ড্রাগনচাষি, ফুলচাষি, বিভিন্ন নার্সারি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, কচুর লতিসহ বিভিন্ন সবজি চাষি, লিচুর বাগান ও অনেক কৃষক তাদের জমিতে দিতে কেঁচো সার নিচ্ছেন। প্রতি কেজি সার ১৪ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন তিনি। হৃদয় বাণিজ্যিকভাবে ভার্মিকম্পোস্ট (কেঁচোসার) বাজারজাত করতে চান। এ জন্য দরকার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান জানান, সব ধরনের জৈব সারের মধ্যে ভার্মিকম্পোস্টের গুণাগুণ বেশি থাকে। যার ফলে ভার্মিকম্পোস্ট প্রয়োগে উৎপাদিত ফসল দেখতে আকর্ষণীয় হয়। কৃষকদের রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহার ত্বরান্বিত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন তিনি। উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা ফারুক হোসেন চৌধুরী জানান,তিনি সরেজমিনে গিয়ে উদ্যোক্তা হৃদয় হোসেনকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করছেন। কেঁচো সার বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতা পাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই কর্মকর্তা।

পাবনা,সাঁথিয়া,কেঁচোসার
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত